যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সংকট নিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের বিবৃতি।
উম্মত নিউজ, ২০ আগস্ট ২০২৪
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সংকট নিয়ে বিবৃতি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষকরা।
তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সাথে লক্ষ্য করছি যে, দেশব্যাপী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের দুই সপ্তাহ পরও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ ফিরে আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসন বর্তমান উপাচার্য গত ১৯ দিন ধরে ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত। এদিকে অজ্ঞাত স্থান থেকে উপাচার্য মহোদয় নোটিশ পাঠিয়ে ১১ আগস্ট ক্যাম্পাস খোলার কথা বললেও, সাধারণ শিক্ষকগণ ক্যাম্পাসে গিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত পরিবেশ পরিলক্ষণ করেন। যবিপ্রবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ, দালাল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধীতাকারী উপাচার্য ও তার দোসরদের একযোগে পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবন ও প্রশাসনিক ভবন ইতোমধ্যে তালাবদ্ধ করে রেখেছে এবং কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। উপাচার্যের নিরব ভূমিকা ও ক্যাম্পাসে অনুপস্থিতি সার্বিকভাবে অচল অবস্থার সৃষ্টি করেছে, যা বর্তমানে ক্যাম্পাসকে শাটডাউন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে অভিভাবকহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, যা সাধারণ শিক্ষকদের গভীর উদ্বেগের ও মর্মপীড়ার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পাশে থাকেননি, উপরন্তু বিভিন্নভাবে অসহযোগীতা ও হয়রানি করেছেন এবং এই গণহত্যার প্রতিবাদে তারা কোন শব্দ উচ্চারণ করেননি। তাছাড়া বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপাচার্যের দুর্নীতি নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে বলে সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ মনে করেন। তবে শিক্ষার্থীদের উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলনকে সাধারণ শিক্ষকগণ অত্যন্ত যৌক্তিক মনে করেন। উল্লেখ্য যে, উপাচার্যের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে যবিপ্রবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সমর্থনে সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ যথাসময়ে মানল্ব বন্ধন করতে পারেননি। বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে উপাচার্যের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার আহবান জানাচ্ছি। অন্যথায়, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।