মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারা-নির্যাতনের পর মুক্ত বাতাসে উস্তাযুল হুফ্ফাজ হাফেজ আব্দুল কুদ্দুস।
উম্মত নিউজ, ২২ আগস্ট ২০২৪
হাফেজ আব্দুল কুদ্দুস যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার মির্জাপুর গ্রামের মৃত আমির আলী মোল্লার সন্তান। সে যশোর জেলার শেখহাটি এলাকায় ‘উবায় বিন কাব রাঃ তাহফিজুল কুরআন’ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তার নামে ২০০৭ সালে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হরকাতুল জিহাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মামলা হয়। সেই মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। কিন্তু মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
২০০৭ সাল থেকে ১০ বছর ২ মাস সাজা ভোগ করে ২০১৮ সালে জেল থেকে মুক্তি পান হাফেজ আঃ কুদ্দুস। এই ১০ বছরে তাঁকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে নির্যাতন চালানো হয় জেলের টর্চার সেলে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারীতে মালিবাগ মাদ্রাসার খতমে বুখারী অনুষ্ঠিত হয় এবং অনুষ্ঠান শেষে রাতে বাড়িতে ফেরার পথে তাঁকে মালিবাগ থেকে RAB পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয় এবং কিছুদিন গুম করে রাখার পর ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে তাঁকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
গ্রেফতার দেখানোর পর RAB-3 তার নামে একটা মিথ্যা অভিযোগ প্রকাশ করে, সেখানে বলা হয় ২০২২ সাল থেকে আব্দুল কুদ্দুস ও আত্মগোপনে থাকা আরও কয়েকজন শীর্ষ জঙ্গি মিলে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করে আসছিল। সেই পরিকল্পনাকে সফল করার জন্য তারা বেশ তৎপরতা চালাতে শুরু করে।
উপরোক্ত অভিযোগ সুত্রে তাঁর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাযায় ২০২২ সে স্টোক করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকার ইব্রাহিম কার্ডিয়াকে ভর্তি থাকেন, এবং তিনি হরকাতুল জিহাদের সাথে সংযুক্ত ছিলেন না।
দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গতকাল (২১ আগস্ট বুধবার) রাত ১০ঃ৪০ মিনিটে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তার খাঁচ শাগরেদ হাফেজ মাওলানা হুমায়ুন কবির।